সুশান্ত পাল বাচ্চু, কক্সবাজার: দশমি বিহিত পূজা, দর্পণ বিসর্জন, দেবীকে মিষ্টিমুখ করানো, ভালো থাকার আশীষ চাওয়া, রঙ আর সিঁদুর খেলা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢোল বাজিয়ে পানিতে ভাসানো হয় প্রতিমা। বিসর্জনের সময় আনন্দের পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে ছিল বিষাদের ছাপ। এতে করে সমাপ্তি ঘটলো পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের।
এ উপলক্ষে সৈকতে নেমেছিল লাখো মানুষের ঢল। সমুদ্র সৈকত হয়ে উঠছিল নানা ধর্ম বর্ণের মানুষের মিলন মেলা। ছিলেন বিদেশি পর্যটকও। নেয়া হয়েছিলো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিমা বহনকারী ট্রাক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দিকে আসতে শুরু করে। বিকেল তিনটার পর সৈকতের লাবনী পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
সৈকতের লাবনী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে চলে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
প্রধান অতিথি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যের ধারাবাহিকায় মানুষে মানুষে সব বিভেদ ও সংকীর্ণতা চিরতরে দূর করতে হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রনজিত দাশের সভাপতিত্বে বিসর্জন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক তাপস রক্ষিত।
বিসর্জন উপলক্ষে সমুদ্র সৈকত ও আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছিলো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবারে জেলায় তিনশো চারটি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদের একশো ঊনপঞ্চাশটিতে প্রতিমা ও একশো পঞ্চান্নটিতে ঘট পূজার আয়োজন করা হয়।
এদিকে, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার প্রতিমা বিসর্জন মাতামুহুরী নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই উপজেলার প্রায় একশো প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শেষ হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
গতকাল রাতে সাইমুম সরওয়ার কমল ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফোরকান আহমেদ ঈদগাঁও কেন্দ্রিয় কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
Leave a Reply