নুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার: ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে মানুষ বাড়ি ফিরলেও দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের টানে কক্সবাজার ছুটে এসেছেন ভ্রমণ পিপাষুরা। সৈকতের প্রধান প্রধান পয়েন্টগুলোতে এখন পর্যটকের উপচেপড়া ভীড়। ঈদের আনন্দ যেন বাড়িয়ে দিয়েছে সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রধান পয়েন্টগুলোতে এখন পর্যটকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস।
সাগর-পাহাড়ের মিতালী আর উত্তাল ঢেউয়ের বুকে সূর্যাস্তের দৃশ্য যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের। প্যারাসেইলিং, জেট-স্কী, কীটকট ও বীচ বাইকসহ সৈকতের বাহারি আয়োজনে মেতে উঠে মানুষ। ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে তাই কক্সবাজার ছুটে এসেছেন লাখো পর্যটক। প্রিয়জনদের সাথে কক্সবাজারে ঈদের ছুটি কাটাতে পেরে খুশি পর্যটকরা।
এদিকে পর্যটকদের যেকোন হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, বীচে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা পর্যটক হয়রানি রোধে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে একাধিক টিম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। কোন হোটেল রেঁস্তোরায় যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এদিকে, কক্সবাজারে আগত পর্যটকবৃন্দের সার্বিক নিরাপত্তায় আজ জেলা প্রশাসনের পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে যান জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পাশাপাশি কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণীসহ সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের একাধিক টিম কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আমিন আল পারভেজ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ কান্তি দাশ সৈকত এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশেনায় পর্যটকদের সুবিধার্থে আমাদের মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply