এইনগরে অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির মাধ্যমেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালিত হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য বানিয়েছিল। তাদের মাধ্যমেই শাহ এএসএম কিবরিয়া, আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড হামলা হয়েছিল তাদের মাধ্যমেই। এর মানে তারা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যারা এ ধরনের রাজনীতি করে, তারা কখনো দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। আজকে আমার প্রশ্ন, তারা কি দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়?
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আইভি রহমান পরিষদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, আইভি রহমান পরিষদের উপদেষ্টা মো. আকরাম হোসাইন প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। যদিও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। বিচারের প্রক্রিয়া যদি আমরা দেখি সাক্ষীরা যে জবানবন্দি দিয়েছে, আসামিরা যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, সেগুলো যদি পড়ি তাহলে আমরা দেখতে পাব কখন কোথায় কিভাবে খুনিদের বৈঠক হয়েছে, কিভাবে জিয়াউর রহমান এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ধ্বংসের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির রাজনীতি শুরু। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায়, তখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হাওয়া ভবনের পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত গ্রেনেড দিয়ে করা হয়। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বাসায় বাবর নিজের হাতে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। এর পরিকল্পনা করা হয় হাওয়া ভবন থেকে এবং গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সবার বিচার হবে এবং দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
Leave a Reply